অনেক আগে থেকেই বিশ্বের অন্যতম সেরা বিমানবন্দরগুলোর একটি সিঙ্গাপুরের চেঙ্গি বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি এবার নিজেদের অনন্য করে তুলেছে অন্য এক দিক থেকে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ অভ্যন্তরীণ ঝরনা বানানো হয়েছে এই বিমানবন্দরে, উচ্চতায় যা প্রায় একটি তেরো তলা ভবনের সমান। ঝরনাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেইন ভর্টেক্স’, যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ‘ঘূর্ণায়মান বৃষ্টি’।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ঝরনাসহ বিমানবন্দরটির আধুনিকায়নে নেওয়া প্রকল্পে সিঙ্গাপুর ব্যয় করেছে ১২৫ কোটি মার্কিন ডলার। বিমানবন্দরটিতে প্রায় চার বছরের প্রস্তুতি নিয়ে বানানো বহুল প্রত্যাশিত জুয়েল সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে গত বুধবার। ১৪ লাখ বর্গফুট জায়গা জুড়ে বানানো এই জুয়েল সেন্টারটি বিমানবন্দরের তিনটি টার্মিনালের সঙ্গেই সংযুক্ত। কাচ ও স্টিলের সমন্বয়ে বানানো ডোনাট আকৃতির জুয়েল চেঙ্গি বিমানবন্দরে চারতলা ব্যাপী মনোরম একটি ফরেস্ট ভ্যালি আছে, ২৮০ টিরও বেশি খাবারের দোকান আছে, আছে হোটেল ও সিনেমা হল।
কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে সবার দৃষ্টি কেড়েছে ঝরনাটিই। প্রায় ১৩০ ফুট উঁচু এই ঝরনাটি বানানো হয়েছে অত্যন্ত সৃজনশীল উপায়ে। ইস্পাত এবং কাচের তৈরি বিশালাকৃতির একটি গম্বুজের মধ্য দিয়ে ঝরনার পানি পড়বে বাগানের মধ্যে।
বিবিসির এক ভিডিওবার্তায় বলা হয়েছে, ঝরনা থেকে যে পানি পড়বে সেটি হলো বৃষ্টির পানি। বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে ছাদ থেকে গম্বুজের মধ্য দিয়ে সেটি নিচে পড়বে। ঝরনার এই পানি আবার সংগ্রহ করা হবে মাটির নিচে স্থাপিত ট্যাংকে। এই পানিই আবার পাম্প করে ব্যবহার করা হবে।
![রাতে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সেজে ওঠে ঝরনাটি। ছবি: রয়টার্স রাতে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সেজে ওঠে ঝরনাটি। ছবি: রয়টার্স](https://https-paloimages-prothom--alo-com.0.freebasics.com/-t_2eb9561a5551500e5860344a404ca408b5784bf6-/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2019/04/19/4a2c77008c2f1023c7d2b6df7f11a5cb-5cba0adeeb330.jpg?iorg_service_id_internal=849824921721473%3BAfocyujK4FBm96lf)
চেঙ্গি বিমানবন্দর গ্রুপের এয়ারপোর্ট অপারেশনস ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেসন গুহ বলেছেন, ‘ঝরনাটির জন্য বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করা হবে। আমরা পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। ঝরনার নিচে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করার জন্য ট্যাঙ্ক আছে, যেন এই পানিই আমরা পুনরায় ব্যবহার করতে পারি। আর যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি জমা হয়, তাহলে সেটি ফরেস্ট ভ্যালির গাছে ব্যবহার করা হবে।’
উদ্বোধনের পর থেকেই দর্শনার্থীদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে এই ঝরনা। প্রথম দিনেই ঝরনাটি দেখতে এবং ছবি তুলতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেছেন। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে বর্ণিল আলোকসজ্জা দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করছেন
No comments:
Post a Comment