Apr 27, 2019

২৫ পরিবারকে ‘বন্দি’ করে বেনাপোল বন্দরের উন্নয়ন

27/04/19/02:20

যশোরে ২৫টি পরিবারের বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা না রেখেই টার্মিনাল নির্মাণ করেছে বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এই ২৫ বাড়ির উত্তরে রয়েছে হাকর নদী, পুব দিকে আছে বেসরকারি স্থাপনা, পশ্চিমে ভারত সীমান্ত, আর দক্ষিণে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
টার্মিনাল ও বেসরকারি স্থাপনাগুলোর মাঝখান দিয়ে বানানো হয়েছে টার্মিনালের নালা। কয়েক মাস ধরে ওই নালার পাশ দিয়ে যাতায়াত করছিল ২৫ বাড়ির লোকজন।
শুক্রবার সকালে এটাও আটকে দেওয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করলে নারীরা ঝাড়ু মিছিল করে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন।
স্থানীয় পৌর কমিশনার আব্দুল জব্বার বলেন, “প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণের পর ওই সব পরিবারের যাতায়াতের পথে বন্দর কর্তৃপক্ষ নালা তৈরি করে।
“এবার ওই নালার প্রবেশ মুখ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য নির্মাণকাজ শুরু করলে পেছনে বসবাসকারীরা ক্ষুব্ধ হন। বিষয়টি নিয়ে অবরুদ্ধ মানুষেরা বন্দর পরিচালকের কাছে আবেদন জানালেও তারা অসহায় মানুষগুলোর যাতায়াতের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করেননি।”
বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন অর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “পেছনের জমি অধিগ্রহণ করার একটি পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সময় লাগবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বোঝাতে হবে। পেছনের জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে যাত্রীদের জন্য খাবার হোটেল ও বিশ্রামাগার তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
“তত দিন কি আমরা বন্দি হয়ে থাকব?” প্রশ্ন করেছেন আটকা পড়া ঝরনা খাতুন।
তিনি বলেন, “ড্রেনের পচা গন্ধে জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। আমরা এখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।”
ভুক্তভোগী আশাদুজ্জামান আশা বলেন, “বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের জিম্মি করে ফেলেছে। তারা সামনের জমি অধিগ্রহণ করে আমাদের একপর্যায়ে জেলখানার মতো আটকে ফেলেছে।
“টার্মিনালের টয়লেটের ট্যাংকি ও ড্রেন আমাদের বাড়ির সামনে পড়ায় তা থেকে সব সময় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।”
গৃহবধূ মাছুরা বেগম, মাজেদা বেগমসহ ২৫ পরিবারের সবাই এই অভিযোগ করেছেন। তারা অবিলম্বে এ সমস্যার সমাধান চান।

No comments:

Post a Comment